সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দল খুনের বিচার বন্ধ করতে হরতাল ডাকতে পারে না। তাই আইনের শাসন চাইলে হরতাল প্রত্যাহার করুন।’
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল হাওয়া ভবন, আর এর কর্ণধার ছিলেন তারেক রহমান। সেখানেই শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান-উল্লাহ মাস্টার হত্যা এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের একত্রে হত্যা করা। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন মারা যান। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা তো করেইনি, বরং ফায়ার ব্রিগেড ডেকে এনে আলামত নষ্ট করেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ আক্রান্ত লোকজনের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ও লাঠিপেটা করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘদিন তদন্তের পর পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। বিচারের এই প্রক্রিয়াকে বিএনপির স্বাগত জানানো উচিত ছিল। বিচারের পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে তাদের অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল। অথচ তারা বিচার-প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে হরতাল ডেকেছে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও সব হত্যার বিচার হয়। কেবল ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। এখানে হত্যার বিচার করতে বাধা দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালের আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরুই করা যায়নি। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারের রায় কার্যকর হয়। নিহত লোকজনের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি কি অস্বীকার করতে পারবে যে তাদের হত্যা করেনি? এ ঘটনা তাদের পরিকল্পনায় ঘটেনি? এমন জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিচার হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, নূহ-উল-আলম লেনিন, আহমদ হোসেন প্রমুখ।
প্রথম আলো্
0 comments:
Post a Comment