Total Pageviews

Feedjit Live

Friday, July 29, 2011

 যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার চাঁদাবাজি

আমতলী উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিসের তৃতীয় ধাপের কর্মীরা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে চাঁদা তুলে তা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।
অস্থায়ী নিয়োগের চুক্তিপত্র, দপ্তর বণ্টন, দাপ্তরিক কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো ও ই-মেইল ঠিকানা খোলাসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। এসবের প্রতিকার চেয়ে ন্যাশনাল সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মী গত সোমবার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ন্যাশনাল সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করেন, গত মে মাসের শেষদিকে তাঁদের তিন মাসের প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই বছরের অস্থায়ী নিয়োগের ‘চুক্তিপত্র’ করার জন্য স্ট্যাম্প কেনা বাবদ তৃতীয় ধাপের দুই হাজার ৮০০ প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ২৬০ টাকা করে আদায় করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
এ ছাড়া বর্তমানে ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীদের জীবনবৃত্তান্তসহ দাপ্তরিক কাগজপত্র ঢাকা অফিসে পাঠানোর জন্য কর্মীপ্রতি ৬০ টাকা ও প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর ই-মেইল ঠিকানা (আইডি) খোলার জন্য আরও অতিরিক্ত ৬০ টাকা করে মোট ১২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
ই-মেইল ঠিকানা খোলার নামে ৬০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলনকারী যুব উন্নয়ন দপ্তরের কর্মচারী মজিবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার নির্দেশেই আমি এই টাকা তুলছি।’
আমতলী উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঋণ পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘দাপ্তরিক সব কাগজপত্র পাঠানোর জন্য আমাদের নিজস্ব তহবিল আছে। এ জন্য কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান বা সুযোগ নেই।’
কর্মীরা আরও অভিযোগ করেন, তৃতীয় ধাপের প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন দপ্তরে বদলির জন্যও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। ওই দপ্তরের আরেক ঋণ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হতো বলে অভিযোগে জানা যায়।
ন্যাশনাল সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মী নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জালাল আহমেদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে গেলেও ঘুষ দিতে হয় কর্মীদের।
এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য।’ তবে ই-মেইল ঠিকানা ও অন্যান্য দাপ্তরিক কিছু কাজের জন্য অল্প কিছু অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
ন্যাশনাল সার্ভিসের আমতলী উপজেলা কমিটির সভাপতি ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে। প্রথম আলো

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More