Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, July 4, 2011

‘ক্ষমতা ছেড়ে দিলে দেশে থাকতে পারবেন গাদ্দাফি’


লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অন্তর্বর্তী জাতীয়পরিষদের (টিএনসি) প্রধান বলেছেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি যদি ক্ষমতা ছেড়ে দেন, তাহলে তিনি দেশে থাকতে পারবেন। এদিকে তুরস্ক টিএনসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে চলেছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তিনি বলেছেন, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন। গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠজনেরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, লিবিয়ার নেতার ভবিষ্যৎসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
টিএনসিপ্রধান মুস্তাফা আবদুল জলিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান হিসেবে আমরা তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছি, তিনি যেন পদত্যাগ করে তাঁর অনুগত সৈন্যদের সেনাঘাঁটি ও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তিনি দেশে থাকবেন, নাকি বিদেশে চলে যাবেন।’
মুস্তাফা আবদুল জলিল বলেন, ‘তিনি যদি লিবিয়ায় থাকতে চান, তাহলে আমরা তাঁর থাকার জায়গা নির্ধারণ করে দেব। এটা করা হবে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে। তাঁকে আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে চলাফেরা করতে হবে।’
গাদ্দাফির সাবেক বিচারমন্ত্রী টিএনসিপ্রধান আবদুল জলিল বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বেনগাজিতে এই সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রায় এক মাস আগে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ত্রিপোলি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে লিবিয়ার জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি হিসেবে টিএনসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, গাদ্দাফির চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।
তুরস্ক লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য আরও ২০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত মাসেও ১০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাভুতোগলু বেনগাজিতে টিএনসিপ্রধান আবদুল জলিলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য আমি এখানে এসেছি। জনগণের ন্যায়সংগত দাবির বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে হবে। লিবিয়ার জনগণের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই কেবল তা অর্জন করা সম্ভব।’
আফ্রিকান ইউনিয়ন বিদ্রোহী ও ত্রিপোলির সরকারের মধ্যে আলোচনার যে উদ্যোগ নিয়েছে, বিদ্রোহীরা তা নাকচ করে দিয়েছে। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। ওই উদ্যোগে গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে ও ঘনিষ্ঠজনদের প্রস্থানের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’
এরই মধ্যে তুরস্কের ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার আরব টার্কিশ ব্যাংকের (এ অ্যান্ড টি) নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More