Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, July 4, 2011

সাবেক ৩ আইজিপি কারাগারে

ঢাকা, জুলাই ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় আত্মসমর্পণের পর সাবেক তিন পুলিশপ্রধান মো. আশরাফুল হুদা, খোদা বখশ ও শহুদুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকারী এ তিন জন।

আদালতে তিন জনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও হাকিম কেশব রায় চৌধুরী শুনানির পর তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিন সাবেক আইজিপি কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা ও সুচিকিৎসার আবেদন করলে হাকিম এ বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পুলিশের এ তিন সাবেক প্রধানসহ ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যোগ করে আগের দিনই আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

নতুন আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের নামও রয়েছে।

আগের মতোই হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় আলাদা দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। এর পরপরই হত্যামামলায় তারেক ও সাবেক তিন আইজিপিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন হাকিম কেশব রায়।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩০ জনসহ দুই মামলায় মোট আসামি সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ জনে।

জামিন আবেদনের শুনানিতে হুদার আইনজীবী আমিনুল গনি টিটো বলেন, তারা জানতে পেরেছেন, এ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা দেননি।

"এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে, এ মামলা নয়। কারণ তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলেন না। এদের কেউ গ্রেনেডও ছোড়েননি", বলেন তিনি।

ঘটনার সময় আশরাফুল হুদা যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে সন্ত্রাসবিরোধী একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ছিলেন বলে আদালতকে জানানো হয়।

আশরাফুল ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে পরের বছর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ মাস ২ দিন পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি পেলেও পরে কীভাবে সমাবেশস্থল পরিবর্তন হয়, তার উল্লেখ অভিযোগপত্রে নেই বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী টিটো।

শহুদুল ও খোদা বখশের পক্ষে শুনানিতে ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, শহুদুল ক্যান্সারাক্রান্ত এবং খোদা বখশ হৃদরোগী।

জামিন না হলেও আসামিদের ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আসামিদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোখলেসুর রহমান বাদল।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ' আহত হন।

বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি কর্মকর্তা ফজলুল কবীর ২২ জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে রাষ্ট্র্রপক্ষের আবেদনে ২০০৯ সালের ৩ অগাস্ট আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়। এরপরই সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কাহহার আকন্দ মামলাটির অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান, রোববার তার তদন্ত প্রতিবেদন দিলেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/১৪১০ ঘ.

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More