Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, July 4, 2011

প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করছে থাইল্যান্ড

ব্যাংকক, জুলাই ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- ছয় বছরের মধ্যে ছয় প্রধানমন্ত্রী আর কখনো কখনো রাজনৈতিক সহিংসতা, রক্তপাতে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশটির ভাবমূর্তি ক্রমশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছিল।

এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে থাইল্যান্ডবাসীরা তেমন আগ্রহ না দেখালে দোষ দেওয়ার কিছু ছিল না।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে ভিন্ন একটি বিষয় ছিল। আর তাতেই হয়তো পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর থাইল্যান্ডবাসীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেখা যায় তুমুল আগ্রহ। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল জনগণ।

সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে সেই ভিন্নতা হচ্ছেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ৪৪ বছর বয়সী একজন নারী। দুই মাস আগেও যার রাজনীতিতে কোন বিচরণ ছিল না। তিনিই থাইল্যান্ডের পুয়ে থাই পার্টির বিস্ময়কর বিজয়ের আইকন। এর মধ্য দিয়ে ইংলাক অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে। আর তার পেছনে ছায়া হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই ভাই নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

ইংলাক, বাবা-মায়ের দেয়া ডাক নাম পোও কখনো কোন সরকারি পদে আসীন হন নি। তাই তাকে প্রমাণ করতে হবে তিনিও পারেন দেশ চালাতে।

কিন্তু থাইল্যান্ডবাসীদের একটি অংশ বিশেষ করে নারীরা এ চ্যালেঞ্জের সুফল তার হাতে তুলে দিতে চায় এবং সেদেশের রাজনীতিতে নারীদের সম-অধিকারের জন্য আন্দোলনরত নারীরা বিষয়টিকে একটি বড় অর্জন, একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

ব্যাংকক মার্কেটে একটি সানগ্লাসের দোকানের মালিক ৪২ বছর বয়স্ক আরিরাক সায়েলিম বলেছেন, "আমি সবসময় দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতাম।"

তিনি আরো বলেন, "আমি অনেক পুরুষকে দেখেছি দেশ চালাতে গিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্ভবত এবার ভিন্ন ব্যাপার ঘটতে যাচ্ছে। নারী কী আর পুরুষ কী নয় এগুলো খুঁতখুঁতে ব্যাপার। তার বয়স এবং সাফল্যম-িত কর্মজীবনের ভিত্তিতে আমি বেশ নিশ্চিত, সে কাজটা ভালই পারবে।"

থাইল্যান্ডের ক্রাং ব্যাংকের প্রথম মহিলা নির্বাহী সহকারী-প্রধান যাওয়ালাক পুলথং বলেছেন, "অনেক নারীই যোগ্য, বিজ্ঞ এবং সত্যিই আজকের দিনে এ দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্যতা তাদের রয়েছে।"

তিনি আরো বলেন, "আমি মনে করি না কে কাজটি করতে পারবে আর করতে পারবে না। এক্ষেত্রে জেন্ডার একটি ইস্যু হতে পারে।"

ইংলাক তার ভাইয়ের জনপ্রিয় নীতিগুলো ফিরিয়ে আনতে এবং দরিদ্রদের জীবনমানের উন্নয়নের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ২০০৬ সালে সামরিক বাহিনী কর্তৃক তার ভাইকে অপসারনের প্রতিশোধ না নিয়ে, এই ছয় বছরের রাজনৈতিক সংকট দূর করে জাতীয় পুনর্গঠনের ব্যাপারেই তিনি বদ্ধপরিকর।


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/সিআর/১১৪৮ ঘ.

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More