Total Pageviews

Feedjit Live

Wednesday, July 6, 2011

আসামিকে ধরে ছেড়ে দিলেন রামপুরা থানার ওসি

হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলার এক আসামিকে গতকাল গ্রেপ্তারের পরও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রামপুরা থানার ওসি সায়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে। আসামির নাম আরিফুর রহমান রশিদ (৩০)। তবে ওসি সায়েদুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক আজগর আলী জানান, আরিফ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিল। সে অসুস্থ থাকায় থানাহাজত থেকে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অসুস্থ আসামিকে মুক্তি দেওয়া যায় বলে তিনি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে খিলগাঁও তালতলার বাসা থেকে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে থানায় আনা হলে সন্ধ্যার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মানবাধিকার নেত্রী ও আমেরিকা প্রবাসী শামিমুন নাহার লিপি কালের কণ্ঠকে জানান, আসামি তাঁর আপন ভাই। তাঁদের বাবা এ কে এম রশিদ উদ্দিন ছিলেন সাবেক সচিব। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁকে সংসারের হাল ধরতে হয়। ভাই-বোনদের দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আরিফ তাঁর ওপর নানা ধরনের অত্যাচার শুরু করে। এমনকি তাঁকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টাও চালায়।
লিপি বলেন, 'দেশে ফেরার পর গতকাল সকালে আরিফ আমার ঘরে ঢুকে ব্যাপক হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দুপুর ২টার দিকে খিলগাঁও তালতলা, বি-ব্লকের ৩০৫/এ নম্বরের আমাদের বাসায় আসে ও আরিফকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। ডিউটি অফিসার এসআই সাগর আহমেদ জানিয়েছেন, তদন্ত না করে মামলা নেওয়া যাবে না। আসামিকে ছেড়ে দিতে ওপর থেকে নির্দেশ রয়েছে বলে এসআই সাগর জানান।'
এরপর লিপি কথা বলেন ওসির সঙ্গে। ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, ডিএমপি কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন তাকে ছেড়ে দিতে। পরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে আরিফকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, আরিফের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জিডি রয়েছে ১৬টির মতো। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ সময় ছয় মাস পলাতক ছিল সে।
লিপি আরো বলেন, আরিফ ২০০২ সালে আমেরিকায় যায়। সেখানে গিয়েও অপকর্ম ঘটনায়। সেখানকার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছিল। পরে জামিন নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে। আরিফের মিথ্যে মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন বলে জানিয়েছেন লিপি।

2 comments:

এরকম মিথ্যা কথা শুধু কালেরকন্ঠর পক্ষেই ছাপা সম্ভব। শামিমুনের বড় ভাইয়ের বয়স ৫২, ৩০ নয়। নিজের সংসার ধ্বংস করে বাপের সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। গাজা খুরির আর জায়গা পেলেন না। লিপি যে মামলাটি করেছিল, সেটি মিথ্যা প্রমানিত হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এর পর ৩৪টির বেশি মামলা করেছে আপন মা, সহ শতাধিক ভালো মানুষের নামে। প্রত্যেকটি মামলাই মিথ্যা। রাবের হাতে মাদক সহ ধরা পরে ৩৪ দিন জেলে ছিল। সেই মামলাটির দিকে নজর রেখেছি।

How true. Now everybody in Bangladesh knows Lipi. She is playing a very dangerous game with Bangladesh Law. She is so far lucky that nobody is trying to put her in jail for making mockery of Bangladesh Law. But, soon she will be caught.

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More