বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার ইরাকে এখন জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিযোগ, গুটিকয়েক বাংলাদেশি দালালের অপকর্ম আর ইরাকে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যর্থতায় শ্রমবাজারটি চালু হচ্ছে না।
তবে ইরাকের বাংলাদেশ দূতাবাস ও দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সেখানে বাংলাদেশের শ্রমবাজার চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের দপ্তরে সম্প্রতি ইরাকপ্রবাসী কয়েকজন লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। তাতে ইরাকে শ্রমবাজার নষ্ট করার জন্য দালাল ও দূতাবাসের শ্রম শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে কুয়েত যুদ্ধের সময় ইরাকে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পর সেখান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপক চাহিদার ভিত্তিতে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও শ্রম কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের শেষ দিকে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকে বাংলাদেশের লোক পাঠানো শুরু হয়। এরপর ২০১০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হাজার দুয়েক লোক সেখানে গেলেও এখন দেশটিতে লোক পাঠানো বন্ধ। গত পাঁচ মাসে দেশটিতে গেছেন মাত্র নয়জন লোক।
আবু সাঈদ, সেলিম হাজারী, মিনহাজউদ্দিন, আজাদ রহমান খান, আইয়ুব হোসেন, বাদশা মিয়াসহ আরও কয়েকজন ইরাকপ্রবাসী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দূতাবাস চালু হওয়ার পর থেকেই একশ্রেণীর দালাল ইরাকের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এই সমস্যা সমাধানে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়। কিন্তু সমিতির বেশির ভাগ সদস্যই পরে দালাল হিসেবে বাংলাদেশ থেকে লোক আনা শুরু করেন। তাঁদের নানা অপকর্ম ইরাকের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এখন বাজার ঠিক করতে হলে ওই দালাল চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কিন্তু তা না করে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা উল্টো দালালদেরই সহায়তা করছেন।
এদিকে ঢাকায় কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, দালালেরা বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একজন আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, ইরাকে ২৫ জন লোক পাঠানোর কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন জনৈক কুদ্দুস। কিন্তু তিনি একজন লোকও পাঠাননি, টাকাও ফেরত দেননি। আরেক বাংলাদেশি ওয়াহিদুজ্জামান খোকন বলেন, তিনিও দালালদের ৩০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চারজন লোক পাঠিয়ে আর পাঠাচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
প্রবাসীকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি, দীর্ঘদিন ধরে ইরাকে বসবাসরত আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কমিটির কয়েকজন সদস্য নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন সরকারের উচিত দায়ী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু সেটি না করে উল্টো যাঁরা দালাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসব সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইরাকে বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর জিয়াদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইরাকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকার অন্যতম কারণ, সেখানে কাজের পরিবেশ ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে পটপরিবর্তন। এসব কারণে বাজারটা গড়ে উঠছে না।’ তিনি বলেন, ‘একশ্রেণীর দালাল অসাধু প্রক্রিয়ায় এখানে লোক আনতে চায়।’
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার ইরাকে কিছু চাহিদাপত্রে অনুমতি দিলেও শেষ পর্যন্ত এসব লোক পাঠানো যায়নি। সেখানকার পরিবেশ এখনো সুশৃঙ্খল হয়নি।
তবে ইরাকের বাংলাদেশ দূতাবাস ও দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সেখানে বাংলাদেশের শ্রমবাজার চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের দপ্তরে সম্প্রতি ইরাকপ্রবাসী কয়েকজন লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। তাতে ইরাকে শ্রমবাজার নষ্ট করার জন্য দালাল ও দূতাবাসের শ্রম শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে কুয়েত যুদ্ধের সময় ইরাকে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পর সেখান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপক চাহিদার ভিত্তিতে ২০০৯ সালের অক্টোবরে ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও শ্রম কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের শেষ দিকে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাকে বাংলাদেশের লোক পাঠানো শুরু হয়। এরপর ২০১০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হাজার দুয়েক লোক সেখানে গেলেও এখন দেশটিতে লোক পাঠানো বন্ধ। গত পাঁচ মাসে দেশটিতে গেছেন মাত্র নয়জন লোক।
আবু সাঈদ, সেলিম হাজারী, মিনহাজউদ্দিন, আজাদ রহমান খান, আইয়ুব হোসেন, বাদশা মিয়াসহ আরও কয়েকজন ইরাকপ্রবাসী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দূতাবাস চালু হওয়ার পর থেকেই একশ্রেণীর দালাল ইরাকের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এই সমস্যা সমাধানে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়। কিন্তু সমিতির বেশির ভাগ সদস্যই পরে দালাল হিসেবে বাংলাদেশ থেকে লোক আনা শুরু করেন। তাঁদের নানা অপকর্ম ইরাকের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এখন বাজার ঠিক করতে হলে ওই দালাল চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কিন্তু তা না করে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা উল্টো দালালদেরই সহায়তা করছেন।
এদিকে ঢাকায় কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, দালালেরা বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একজন আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, ইরাকে ২৫ জন লোক পাঠানোর কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন জনৈক কুদ্দুস। কিন্তু তিনি একজন লোকও পাঠাননি, টাকাও ফেরত দেননি। আরেক বাংলাদেশি ওয়াহিদুজ্জামান খোকন বলেন, তিনিও দালালদের ৩০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চারজন লোক পাঠিয়ে আর পাঠাচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
প্রবাসীকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি, দীর্ঘদিন ধরে ইরাকে বসবাসরত আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কমিটির কয়েকজন সদস্য নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন সরকারের উচিত দায়ী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু সেটি না করে উল্টো যাঁরা দালাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসব সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইরাকে বাংলাদেশের শ্রম কাউন্সিলর জিয়াদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইরাকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকার অন্যতম কারণ, সেখানে কাজের পরিবেশ ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে পটপরিবর্তন। এসব কারণে বাজারটা গড়ে উঠছে না।’ তিনি বলেন, ‘একশ্রেণীর দালাল অসাধু প্রক্রিয়ায় এখানে লোক আনতে চায়।’
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার ইরাকে কিছু চাহিদাপত্রে অনুমতি দিলেও শেষ পর্যন্ত এসব লোক পাঠানো যায়নি। সেখানকার পরিবেশ এখনো সুশৃঙ্খল হয়নি।
0 comments:
Post a Comment