সরকারবিরোধী আন্দোলনে সুবিধা করতে পারছে না বিএনপি। শরিক দলগুলোর অবস্থাও জোরালো নয়। এ অবস্থায় একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি দুই সপ্তাহ ধরে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সবগুলোরই আপত্তি জামায়াতকে নিয়ে। দলগুলোর বক্তব্য, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত থাকলে তাদের পক্ষে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করা কঠিন।
এ অবস্থায় বিএনপির নেতারা নতুন সংকটে পড়েছেন। কারণ দলটির পুরোনো মিত্র জামায়াত ভোটের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জামায়াতকে ত্যাগ করা বিএনপির পক্ষে কঠিন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতকে বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক মোর্চা গড়ার চিন্তা বিএনপির নেই। তবে অন্যান্য দলকে কাছে টানার কৌশল হিসেবে চারদলীয় জোটে জামায়াতের প্রভাব কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
অবশ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি, জামায়াতের বিষয়ে বিএনপির মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে যদি কোনো দলের আপত্তি থাকে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ইতিমধ্যে বিএনপির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে জামায়াতের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। একই আপত্তি আ স ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিরও।
কাদের সিদ্দিকী গত শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে থেকে জোট গঠনে তাঁর দলের অসুবিধা আছে।
ওই বৈঠকসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কাদের সিদ্দিকীর আপত্তির বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে তিনি কী করবেন, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান সবার জানা। তারা এরশাদ সরকারের সময় বেইমানি করে নির্বাচনে গেছে। তাই এদের সঙ্গে জোট করা যায় না। জামায়াত থাকলে এলডিপি বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবে না, তবে যুগপ ৎ আন্দোলনে থাকবে।
এ ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুগপ ৎ কর্মসূচি বা রাজনৈতিক ঐক্যের লক্ষ্যে বিএনপি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) কয়েকটি বামপন্থী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাও জামায়াতের ব্যাপারে জোর আপত্তি করেছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে বিএনপির নেতৃত্বে অন্য দলগুলোকে নিয়ে একটি বৃহ ৎ ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। এ জন্য যা করার, বিএনপি তা করবে। তাঁর দাবি, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দলের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হবে প্রথম আলো
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি দুই সপ্তাহ ধরে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সবগুলোরই আপত্তি জামায়াতকে নিয়ে। দলগুলোর বক্তব্য, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত থাকলে তাদের পক্ষে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করা কঠিন।
এ অবস্থায় বিএনপির নেতারা নতুন সংকটে পড়েছেন। কারণ দলটির পুরোনো মিত্র জামায়াত ভোটের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জামায়াতকে ত্যাগ করা বিএনপির পক্ষে কঠিন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতকে বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক মোর্চা গড়ার চিন্তা বিএনপির নেই। তবে অন্যান্য দলকে কাছে টানার কৌশল হিসেবে চারদলীয় জোটে জামায়াতের প্রভাব কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
অবশ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি, জামায়াতের বিষয়ে বিএনপির মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে যদি কোনো দলের আপত্তি থাকে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ইতিমধ্যে বিএনপির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে জামায়াতের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। একই আপত্তি আ স ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিরও।
কাদের সিদ্দিকী গত শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে থেকে জোট গঠনে তাঁর দলের অসুবিধা আছে।
ওই বৈঠকসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কাদের সিদ্দিকীর আপত্তির বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে তিনি কী করবেন, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান সবার জানা। তারা এরশাদ সরকারের সময় বেইমানি করে নির্বাচনে গেছে। তাই এদের সঙ্গে জোট করা যায় না। জামায়াত থাকলে এলডিপি বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবে না, তবে যুগপ ৎ আন্দোলনে থাকবে।
এ ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুগপ ৎ কর্মসূচি বা রাজনৈতিক ঐক্যের লক্ষ্যে বিএনপি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) কয়েকটি বামপন্থী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাও জামায়াতের ব্যাপারে জোর আপত্তি করেছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে বিএনপির নেতৃত্বে অন্য দলগুলোকে নিয়ে একটি বৃহ ৎ ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। এ জন্য যা করার, বিএনপি তা করবে। তাঁর দাবি, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দলের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হবে প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment