মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী রোববার সন্ধ্যায় এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি ওই ১৮ জনের মালামাল ক্রোকেরও পরোয়ানা জারি হয়েছে। এই ১৮ জন হলেন- তারেক রহমান, খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বখশ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত এএসপি আব্দুর রশিদ ও মুন্সী আতিকুর রহমান, বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এটিএম আমিন, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর হোমায়রা ওরফে পীর সাহেব বাবা, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, বাবু ওরফে রাতুল বাবু, মো. ওবায়দুর রহমান, খান সাইদ হাসান। একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে জমা দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রটি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও পিপি জানান। এর আগে দুপুরে তারেক, হারিছ, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যোগ করে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মমালায় তারেককে পলাতক দেখানো হয়েছে বলে আবদুল্লাহ আবু জানান। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ' লোক আহত হন। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি কর্মকর্তা ফজলুল কবীর ২২ জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে রাষ্ট্র্রপক্ষের আবেদনে ২০০৯ সালের ৩ অগাস্ট আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়। এরপরই সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কাহহার আকন্দ মামলাটির অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান। রোববার আব্দুল কাহহার আকন্দের পক্ষে সিআইডির পরিদর্শক সামিউল বাসিত ওই ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলায় একটি এবং বিস্ফোরক মামলায় আরেকটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। অভিযোগপত্র জমা পড়ার পর ঢাকা মহানগর জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের জানান, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই হামলা পরিকল্পনা করেন এবং আসামিদের পালাতে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, ১৪টি মামলার আসামি তারেককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশও করবে বিএনপি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩০ জনসহ দুই মামলায় মোট আসামি সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ জনে। এ ছাড়া ৮৩ জনকে নতুন করে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের নিয়ে দুই মামলায় এখন সাক্ষীর সংখ্যা ৪৯১ জন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/জেকে/১৯২৬ ঘ. | |
0 comments:
Post a Comment