হুমায়ূন আহমেদ
আমার জীবনের প্রথম উপন্যাসটির নাম নন্দিত নরকে। সেই উপন্যাসের একটি চরিত্র মন্টু তার বোন রাবেয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে একটি খুন করে। জজ সাহেব তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অসহায় পরিবারটির কিছুই করার থাকে না। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আশায় বুক বাঁধে। রাষ্ট্রপতি ক্ষমাভিক্ষা দেন না। মন্টুর ফাঁসি হয়ে যায়।
উপন্যাসের রাষ্ট্রপতি নির্মম, কিন্তু বাস্তবের রাষ্ট্রপতিরা মমতা ও করুণায় আর্দ্র। তাঁরা ভয়াবহ খুনিকে ক্ষমা করে দেন। শুধু ফাঁসির হাত থেকে বাঁচা না, মুক্তি। এখন গলায় ফুলের মালা ঝুলিয়ে ট্রাক মিছিল করে বাড়ি ফিরতেও বাধা নেই।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রাষ্ট্রের কাছে দুটি প্রশ্ন করেছেন:
১. প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর পিতার হত্যার বিচার চাইতে পারেন, আমার পিতৃহারা সন্তানেরা কেন বিচার চাইতে পারবে না?
২. রাষ্ট্রপতির স্ত্রী আইভি রহমানের হত্যাকারীদের যদি ফাঁসির আদেশ হয়, তিনি কি তাদের ক্ষমা করবেন?
নিহতের বিধবা স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মতোই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর অবশ্যই রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করার অধিকার আছে।
আমিও এই দুই প্রশ্নের উত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। প্রশ্নের উত্তর শোনার পরপরই নন্দিত নরকে উপন্যাসটি নতুন করে লিখব। প্রথম আলো
উপন্যাসের রাষ্ট্রপতি নির্মম, কিন্তু বাস্তবের রাষ্ট্রপতিরা মমতা ও করুণায় আর্দ্র। তাঁরা ভয়াবহ খুনিকে ক্ষমা করে দেন। শুধু ফাঁসির হাত থেকে বাঁচা না, মুক্তি। এখন গলায় ফুলের মালা ঝুলিয়ে ট্রাক মিছিল করে বাড়ি ফিরতেও বাধা নেই।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রাষ্ট্রের কাছে দুটি প্রশ্ন করেছেন:
১. প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর পিতার হত্যার বিচার চাইতে পারেন, আমার পিতৃহারা সন্তানেরা কেন বিচার চাইতে পারবে না?
২. রাষ্ট্রপতির স্ত্রী আইভি রহমানের হত্যাকারীদের যদি ফাঁসির আদেশ হয়, তিনি কি তাদের ক্ষমা করবেন?
নিহতের বিধবা স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মতোই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর অবশ্যই রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করার অধিকার আছে।
আমিও এই দুই প্রশ্নের উত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। প্রশ্নের উত্তর শোনার পরপরই নন্দিত নরকে উপন্যাসটি নতুন করে লিখব। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment