Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, July 4, 2011

ইংলাক সিনাওয়াত্রার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ


থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। গত রোববার দেশটির ২৬তম সাধারণ নির্বাচনে তাঁর পুয়ে থাই পার্টি বিশাল ব্যবধানে জিতেছে।
২০০৬ সালে বড় ভাই সাবেক প্রধামনন্ত্রীথাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই এখন ইংলাক সিনাওয়াত্রার সামনেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বড় ভাইয়ের পথে চলবেন, নাকি নিজের মতো স্বাধীনভাবে চলবেন—তা দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইংলাকের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২১ জুন থাইল্যান্ডের সান কামপায়েং গরপায়। তিনি বর্তমানে ব্যাংককভিত্তিক প্রপার্টি ডেভেলপার এসসি অ্যাসেট লিমিটেডের সভাপতি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া ভোটারদের সতর্ক করে বলেছিলেন, ইংলাককে ভোট দেওয়া মানে থাকসিনকে ভোট দেওয়া। এর মানে, নির্বাসিত ওই নেতাকে ক্ষমা করা এবং তাঁর দেশে ফিরে আসার পথ সুগম হওয়া।
ইংলাকের এখন প্রমাণ করার সময় যে যারা তাঁর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তাদের যথার্থ উত্তর দেওয়া এবং তিনি যে থাকসিনের প্রতিনিধির চেয়েও বেশি কিছু, তার প্রমাণ রাখা। যদিও তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর পারিবারিক পরিচিতি ব্যবহার এবং থাকসিনের জনপ্রিয় নীতি আবার চালুর অঙ্গীকার করেছিলেন।
সমালোচকেরা বলছেন, এর ফলে তাঁর ভাই থাকসিনই যেন আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
ইংলাক ও থাকসিন দুজনেই বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে থাকসিন থাইল্যান্ডে ফিরবেন—এটা এখন আর কোনো গোপনীয় ব্যাপার নয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত থাকসিন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, ক্ষমতা বা রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছা তাঁর নেই।
তিনি গতকাল দুবাইয়ে বলেন, ‘আমি অনেক দিন দলের সঙ্গে ছিলাম। এখন সত্যিই অবসর চাই। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলে ৬০ বছর বয়সে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিতাম। এখন আমার বয়স ৬২ বছর। সে সময় পেরিয়ে গেছে। থাইল্যান্ডে ফিরে রাজনীতিতে যোগ না দিয়ে বরং পেশাদার গলফার হয়ে যাব।’
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে গতকাল দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনী পুয়ে থাই পার্টির জয়লাভ স্বীকার করে নিয়েছে। দেশটির সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চ্যান-ওকা বলেন, থাইল্যান্ডে আর কোনো সামরিক অভ্যুত্থান হবে না। সেনাবাহিনী জনগণকে সম্মান করে এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাঁরা হস্তক্ষেপ করবেন না। সমস্যা হচ্ছে, সেনাবাহিনী এ ধরনের কথা আগেও বলেছে; কিন্তু কথা রাখেনি।
নির্বাচনে বিজয়ী পুয়ে থাই পার্টি পাঁচদলীয় জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল বলেন, ‘জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা পাঁচ দল একসঙ্গে কাজ করতে একমত হয়েছি। এখন জরুরি বিষয় হলো, আলোচনার মাধ্যমে মতৈক্যে পৌঁছানো।’
নির্বাচনে এই পাঁচ দল মোট ২৯৯টি আসন পেয়েছে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আপিসিতের দল ডেমোক্র্যাট পার্টি পেয়েছে ১৬৩ আসন। পুয়ে থাই পার্টির সঙ্গে যে চারটি দল যোগ দিতে সম্মত হয়েছে সেগুলো হলো: থাই পাট্টানা, চার্ট পাট্টানা, ফিউপানডিন ও মাহাচন। এই পাঁচদলীয় জোট সরকার থাইল্যান্ডের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More