কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করবেন দলের অপর ছয় সাংসদ ও নেতারা। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় ওই ছয় সাংসদের উপস্থিতিতে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আসাদগেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় কুমিল্লার ছয় সাংসদ ও স্থানীয় নেতাদের বৈঠক হয়। রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনের সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সম্প্রতি সাংসদ বাহাউদ্দিনের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং এ জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মুস্তফা কামালকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নালিশ করবেন।
বৈঠকে মুস্তফা কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাংসদ মো. মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনের সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনের সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাংসদ আবদুল মতিন খসরু, সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ জোবেদা খাতুন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খান ও সফিকুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফতাবুল ইসলাম এবং কৃষক লীগ, জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, উপস্থিত ছয় সাংসদসহ অধিকাংশ নেতা সাংসদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সাংসদ মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাহাউদ্দিন সাহেবের মনোনয়নের জন্য আমি দলীয় সভানেত্রীর কাছে বলেছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি কোনো কিছুই মানছেন না। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সময় আমি ওনাকে ফোন করেছিলাম। তিনি আমাদের বাদ দিয়ে আলাদাভাবে নাম জমা দিয়েছেন। সুবিধা করতে না পেরে শেয়ারবাজারের দরপতন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর মনোনয়নের জন্য কাজ করে ভুল করেছি। এ জন্য আপনাদের কাছে মাফ চাইছি।’
বৈঠকে সাংসদ মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর প্রতিবাদে বাহাউদ্দিন সাহেব আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় মাইকিং করিয়েছেন, আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তাঁর কর্মীরা হামলা করেছে।’
দলীয় নেতাদের ভাষ্যমতে, বৈঠকে সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সাংসদ বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের হাতে জেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ভিপি রিপন ও বিশ্বরোড এলাকার দলীয় কর্মী আহমদ আহত হয়েছেন। ওনার কারণে আমাদের কর্মীরা কোনো অফিসে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।’
সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ জোবেদা খাতুন বলেন, ‘উনি (বাহার) আমাকে এমপি-ই মনে করেন না। ওনার কারণে সদর এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান করতে পারি না।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার আগে আমি জানতাম না, কে সভাপতি কে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছে। নাম জমা দেওয়ার পর শুনি ওমুকের নাম।’
বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খান বলেন, ‘আমার পুতেরে (পুত্র) যখন বাহারের লোকজন মারছে, আপনারা তামাশা দেখছিলেন। ফোন করে মুজিব ও কামাল সাহেবকে পাইনি। ওনারা রিং দিলেও আমার ফোন ধরেননি। এখন সুযোগ এসেছে, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে সাংসদ মুস্তফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সাংসদ মুজিবুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৈঠকের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া সাংসদ নাছিমুল হকও ফোন ধরেননি।
সাংসদ আবদুল মতিন খসরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
জোবেদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈঠকে কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা ও স্থানীয় সাংসদের ব্যাপারে কিছু আলোচনা হয়েছে। এসব নিয়েই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিকদার বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিয়ে আমরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ বাহাউদ্দিন গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে আমাকে থামানোর জন্য ওরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমাকে থামানোর জন্য চক্রান্ত না করে সাংগঠনিক কাজে সময় ব্যয় করলে দলীয় কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হতো।’
সাংসদ বাহাউদ্দিন আরও বলেন, ‘অছাত্র, বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী ও মুদিদোকানদারদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি হতে পারে না। এর প্রতিবাদ করা কোনোভাবেই অন্যায় নয়।’
দলীয় সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আসাদগেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় কুমিল্লার ছয় সাংসদ ও স্থানীয় নেতাদের বৈঠক হয়। রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনের সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সম্প্রতি সাংসদ বাহাউদ্দিনের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং এ জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মুস্তফা কামালকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নালিশ করবেন।
বৈঠকে মুস্তফা কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাংসদ মো. মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনের সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনের সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাংসদ আবদুল মতিন খসরু, সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ জোবেদা খাতুন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খান ও সফিকুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফতাবুল ইসলাম এবং কৃষক লীগ, জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, উপস্থিত ছয় সাংসদসহ অধিকাংশ নেতা সাংসদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে সাংসদ মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাহাউদ্দিন সাহেবের মনোনয়নের জন্য আমি দলীয় সভানেত্রীর কাছে বলেছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি কোনো কিছুই মানছেন না। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সময় আমি ওনাকে ফোন করেছিলাম। তিনি আমাদের বাদ দিয়ে আলাদাভাবে নাম জমা দিয়েছেন। সুবিধা করতে না পেরে শেয়ারবাজারের দরপতন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর মনোনয়নের জন্য কাজ করে ভুল করেছি। এ জন্য আপনাদের কাছে মাফ চাইছি।’
বৈঠকে সাংসদ মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর প্রতিবাদে বাহাউদ্দিন সাহেব আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় মাইকিং করিয়েছেন, আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তাঁর কর্মীরা হামলা করেছে।’
দলীয় নেতাদের ভাষ্যমতে, বৈঠকে সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সাংসদ বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের হাতে জেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ভিপি রিপন ও বিশ্বরোড এলাকার দলীয় কর্মী আহমদ আহত হয়েছেন। ওনার কারণে আমাদের কর্মীরা কোনো অফিসে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।’
সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ জোবেদা খাতুন বলেন, ‘উনি (বাহার) আমাকে এমপি-ই মনে করেন না। ওনার কারণে সদর এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান করতে পারি না।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার আগে আমি জানতাম না, কে সভাপতি কে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছে। নাম জমা দেওয়ার পর শুনি ওমুকের নাম।’
বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খান বলেন, ‘আমার পুতেরে (পুত্র) যখন বাহারের লোকজন মারছে, আপনারা তামাশা দেখছিলেন। ফোন করে মুজিব ও কামাল সাহেবকে পাইনি। ওনারা রিং দিলেও আমার ফোন ধরেননি। এখন সুযোগ এসেছে, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে সাংসদ মুস্তফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সাংসদ মুজিবুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৈঠকের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া সাংসদ নাছিমুল হকও ফোন ধরেননি।
সাংসদ আবদুল মতিন খসরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
জোবেদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈঠকে কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা ও স্থানীয় সাংসদের ব্যাপারে কিছু আলোচনা হয়েছে। এসব নিয়েই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিকদার বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিয়ে আমরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ বাহাউদ্দিন গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে আমাকে থামানোর জন্য ওরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমাকে থামানোর জন্য চক্রান্ত না করে সাংগঠনিক কাজে সময় ব্যয় করলে দলীয় কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হতো।’
সাংসদ বাহাউদ্দিন আরও বলেন, ‘অছাত্র, বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী ও মুদিদোকানদারদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি হতে পারে না। এর প্রতিবাদ করা কোনোভাবেই অন্যায় নয়।’
Posted in: অবাক-রাজনীতি,মজাদার,রহস্যময়
0 comments:
Post a Comment