২০০৮
সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেনা-সমর্থিত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে
১৮০টি ও বিএনপি ৮০টি আসনে জয় পাবে। বাকি ৪০টি আসন পাবে জাতীয় পার্টি,
জামায়াতসহ অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি তারবার্তায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গত ৩০ আগস্ট সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস এই তারবার্তাটি ফাঁস করে।
তারবার্তা থেকে জানা যায়, নির্বাচনের এক দিন আগে ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর মরিয়ার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্কালীন যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে মরিয়ার্টির কাছে উপদেষ্টা গোলাম কাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরিপের পাওয়া নির্বাচনের ফলাফলের এ পূর্বাভাস ব্যক্ত করেন। গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ২০০৯-এর ১০ জানুয়ারি সরকার গঠিত হবে। (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হওয়ায় এ তারিখটি আওয়ামী লীগের কাছে অন্য রকম গুরুত্ব বহন করে)। তবে বিএনপি জিতলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হবে বলে গোলাম কাদের জানান।
এ প্রসঙ্গে মরিয়ার্টি তাঁর তারবার্তায় লিখেছেন, ‘বিএনপি জিতলে ৩০ ডিসেম্বরের পরপরই সরকার গঠনের ব্যাপারটি আমার কাছে একটু অতিশয়োক্তি মনে হচ্ছে। কারণ, ৩০ ডিসেম্বর তো নির্বাচনের সরকারি ফলই প্রকাশিত হবে না।’
গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে বলেছিলেন, নির্বাচনের পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে আরও বলেন, আগামীকাল (২৮ ডিসেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা শেষ বৈঠকে মিলিত হয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ-কর্মগুলো পর্যালোচনা করবেন।
মরিয়ার্টি তাঁর সেই তারবার্তায় লিখেছেন, ২৭ ডিসেম্বর তিনি যখন গোলাম কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁকে তখন বেশ নির্ভার দেখাচ্ছিল। তিনি সেদিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি নির্বাচনের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হবে কি না, সে ব্যাপারেও মরিয়ার্টির সঙ্গে কথা বলেন। মরিয়ার্টি তারবার্তায় লিখেছেন, গোলাম কাদের ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন এবং এ ব্যাপারে তিনি নিজের মতামত মরিয়ার্টির কাছে তুলের ধরেন। তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ না করেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আরও বিকল্প রয়েছে।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি তারবার্তায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গত ৩০ আগস্ট সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস এই তারবার্তাটি ফাঁস করে।
তারবার্তা থেকে জানা যায়, নির্বাচনের এক দিন আগে ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর মরিয়ার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্কালীন যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে মরিয়ার্টির কাছে উপদেষ্টা গোলাম কাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরিপের পাওয়া নির্বাচনের ফলাফলের এ পূর্বাভাস ব্যক্ত করেন। গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ২০০৯-এর ১০ জানুয়ারি সরকার গঠিত হবে। (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হওয়ায় এ তারিখটি আওয়ামী লীগের কাছে অন্য রকম গুরুত্ব বহন করে)। তবে বিএনপি জিতলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হবে বলে গোলাম কাদের জানান।
এ প্রসঙ্গে মরিয়ার্টি তাঁর তারবার্তায় লিখেছেন, ‘বিএনপি জিতলে ৩০ ডিসেম্বরের পরপরই সরকার গঠনের ব্যাপারটি আমার কাছে একটু অতিশয়োক্তি মনে হচ্ছে। কারণ, ৩০ ডিসেম্বর তো নির্বাচনের সরকারি ফলই প্রকাশিত হবে না।’
গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে বলেছিলেন, নির্বাচনের পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। গোলাম কাদের মরিয়ার্টিকে আরও বলেন, আগামীকাল (২৮ ডিসেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা শেষ বৈঠকে মিলিত হয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ-কর্মগুলো পর্যালোচনা করবেন।
মরিয়ার্টি তাঁর সেই তারবার্তায় লিখেছেন, ২৭ ডিসেম্বর তিনি যখন গোলাম কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁকে তখন বেশ নির্ভার দেখাচ্ছিল। তিনি সেদিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি নির্বাচনের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হবে কি না, সে ব্যাপারেও মরিয়ার্টির সঙ্গে কথা বলেন। মরিয়ার্টি তারবার্তায় লিখেছেন, গোলাম কাদের ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন এবং এ ব্যাপারে তিনি নিজের মতামত মরিয়ার্টির কাছে তুলের ধরেন। তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ না করেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আরও বিকল্প রয়েছে।
0 comments:
Post a Comment