ওই ঘটনায় পল্টন থানায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলায় ক্ষতির এই পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী পুলিশের উপপরিদর্শক আহসান হাবিব খান দুটি এজাহারেই বলেছেন, জামায়ত-শিবির কর্মীরা সোমবার ধারালো অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে এবং পুলিশের ও একটি পত্রিকার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাহনে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে।
"এছাড়া তারা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ক্ষতিসাধন করে যাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় একশ কোটি টাকা।"
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগান থেকে ৩২৬টি গুলি এবং ২৬২টি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলেও বাদী উল্লেখ করেছেন।
সোমবার ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জামায়াত ও শিবির কর্মীরা। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমসহ তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতভর অভিযান চালায় র্যাব ও পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঢাকাতেই ২৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ঘটনায় জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের আসামি করে ঢাকা ও চট্টগ্রমে মোট ৯টি মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকার রমনা থানায় ছয়টি এবং পল্টন থানায় দুটি মামলা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হয়েছে একটি মামলা।
পল্টন থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী নেপথ্যে থেকে ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত কর্মীদের প্ররোচণা ও সহায়তা দিয়েছে বলে 'নির্ভরযোগ্য' সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পল্টন ও রমনা থানা পুলিশের আবেদনে আদালত মঙ্গলবার এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ ১৮৩ জামায়াত নেতা-কর্মীকে চারটি মামলায় মোট ১৯ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর রডটকম/
0 comments:
Post a Comment