উইকিলিকসে প্রকাশ্য
সাধারণ নির্বাচনের আগেই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) আশঙ্কা ছিল তার জিতে আসা কঠিনই হবে এবার। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন, যা প্রকাশ করেছে উইকিলিকস।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত ৩০ অগাস্ট প্রায় দেড় লাখ নতুন কেবল প্রকাশ করে। এর মধ্যে একটি ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদীয় উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রাঙ্গুনীয় আসনে নির্বাচনকে ঘিরে।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি সাকাকে 'চট্টগ্রামের গডফাদার' হিসেবে অভিহিত করে তার পুননির্বাচিত হওয়া অনেক কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেন, এই আসনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুননির্বাচিত হওয়া কঠিনতর হবে। আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি।
২০০৭ এর ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়জউদ্দিন আহম্মদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মরিয়ার্টি ওই তারবার্তাটি পাঠান ২৪ ডিসেম্বর।
মরিয়ার্টি লিখেছেন, নির্বাচনের আগে ওই আসনে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন করার মাধ্যমে পরাজিত করার নীল নকশা সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাকা চৌধুরী। শুধু তাই নয়, পরাজিত হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন। পরাজিত করার জন্য সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠেপড়ে লেগেছে এমন অভিযোগ শুধু সাকার নয়, দলটির অন্যান্য প্রার্থীদেরও।
২০০১ এর নির্বাচনে রাঙ্গুনীয়ার এই আসনে সাকা চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে প্রায় ১০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
তবে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে সেনা সদস্য মোতায়েন হওয়ায় 'সুষ্ঠু' নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সাকার মতো বিএনপির অন্যান্য প্রার্থীরাও, যোগ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক।
তিনি লিখেছেন, বিএনপি অভিযোগ করছে- এ নির্বাচনে ভোটে নয়, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পছন্দের জয়ী করা হবে। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সাকা চৌধুরীও একই অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মরিয়ার্টি বলেন, তাদের ধারণা এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যদিও একটি দৈনিকের জরিপে দেখা গেছে- আওয়ামী লীগ দুই অঙ্কের ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। তবে সাকা এবং তার দলের অন্যান্য প্রার্থীরা ইঙ্গিত করেছেন, তারা পরাজিত হলেই ধরে নেওয়া হবে ভোট চুরির মাধ্যমে তাদের পরাজিত করা হয়েছে। আর সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তুলে ধরে সাকা চৌধুরী সেদিকেই ইঙ্গিত করেন। পাশাপাশি তিনি একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষককে এও বলেছেন- তিনি পরাজিত হলে চুপচাপ মেনে নেবেন না।
ওই জরিপের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, জরিপের ফলাফল যদি সত্যি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে দুই বছরের জরুরি অবস্থার পর গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠায় বিএনপির মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
সাধারণ নির্বাচনের আগেই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) আশঙ্কা ছিল তার জিতে আসা কঠিনই হবে এবার। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন, যা প্রকাশ করেছে উইকিলিকস।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত ৩০ অগাস্ট প্রায় দেড় লাখ নতুন কেবল প্রকাশ করে। এর মধ্যে একটি ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদীয় উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রাঙ্গুনীয় আসনে নির্বাচনকে ঘিরে।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি সাকাকে 'চট্টগ্রামের গডফাদার' হিসেবে অভিহিত করে তার পুননির্বাচিত হওয়া অনেক কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেন, এই আসনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুননির্বাচিত হওয়া কঠিনতর হবে। আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি।
২০০৭ এর ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়জউদ্দিন আহম্মদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মরিয়ার্টি ওই তারবার্তাটি পাঠান ২৪ ডিসেম্বর।
মরিয়ার্টি লিখেছেন, নির্বাচনের আগে ওই আসনে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন করার মাধ্যমে পরাজিত করার নীল নকশা সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাকা চৌধুরী। শুধু তাই নয়, পরাজিত হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন। পরাজিত করার জন্য সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠেপড়ে লেগেছে এমন অভিযোগ শুধু সাকার নয়, দলটির অন্যান্য প্রার্থীদেরও।
২০০১ এর নির্বাচনে রাঙ্গুনীয়ার এই আসনে সাকা চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে প্রায় ১০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
তবে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে সেনা সদস্য মোতায়েন হওয়ায় 'সুষ্ঠু' নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সাকার মতো বিএনপির অন্যান্য প্রার্থীরাও, যোগ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক।
তিনি লিখেছেন, বিএনপি অভিযোগ করছে- এ নির্বাচনে ভোটে নয়, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পছন্দের জয়ী করা হবে। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সাকা চৌধুরীও একই অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মরিয়ার্টি বলেন, তাদের ধারণা এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যদিও একটি দৈনিকের জরিপে দেখা গেছে- আওয়ামী লীগ দুই অঙ্কের ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। তবে সাকা এবং তার দলের অন্যান্য প্রার্থীরা ইঙ্গিত করেছেন, তারা পরাজিত হলেই ধরে নেওয়া হবে ভোট চুরির মাধ্যমে তাদের পরাজিত করা হয়েছে। আর সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তুলে ধরে সাকা চৌধুরী সেদিকেই ইঙ্গিত করেন। পাশাপাশি তিনি একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষককে এও বলেছেন- তিনি পরাজিত হলে চুপচাপ মেনে নেবেন না।
ওই জরিপের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, জরিপের ফলাফল যদি সত্যি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে দুই বছরের জরুরি অবস্থার পর গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠায় বিএনপির মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment