মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আগামী মাসে (জুলাই) এ বিচার শুরু হওয়ার কথা।
গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। অন্য যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের বিচার আগস্টে শুরু করা যাবে।
এদিকে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১ আগস্টের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার সূত্রগুলো জানায়, এই চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগস্ট মাসে এঁদের বিচার শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটির সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সভায় প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থার সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। এ ছাড়া অন্য যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের বিচার শুরু হবে আগস্টে। তাঁদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আনুষঙ্গিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি আছে কি না, এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সাক্ষী সুরক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে কোন দুজনের বিচার আগামী মাসে শুরু হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী কিছু বলেননি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বৈঠকের বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত সংস্থা যখন যা চায়, তা দ্রুত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত অপর এক মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি তদন্ত সংস্থার বাজেট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তদন্ত সংস্থাকে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে না দিয়ে সংস্থার কাজে লাগানোর বিষয়ে তিনি মতামত দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ।
যথাযথ প্রক্রিয়া মানা হবে: সন্ধ্যায় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাঁদের সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালের সামনে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে যে সাক্ষ্য আসবে, তাঁদের জেরা করার সুযোগ থাকবে। চাইলে সাফাই সাক্ষী দিতে পারেন। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই বিচার সম্পন্ন হবে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিচারে কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
সেফ হোমে (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্ধারিত বাড়ি) চাপ প্রয়োগের অভিযোগ নাকচ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারটিকে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য করার স্বচ্ছতা নিয়েই এগোনো হচ্ছে। কোনো মহল থেকে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে চাইলে তাঁদেরও বসার ব্যবস্থা করা হবে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে। তিনি বলেন, সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের আইনজীবী ও চিকিৎসকের সামনেই। কোনো চাপ দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের কাজে অর্থের ব্যাপারে কোনোরকম সমস্যা নেই। ট্রাইব্যুনালের কাজ এখন এমন পর্যায়ে আছে যে আগামী মাস থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাজে সমন্বয়ের অভাব নেই।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাতজনের মধ্যে ছয়জনকেই সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা নিজামীকে ৫ মে, মুজাহিদকে ৮ মে, সাকা চৌধুরীকে ১০ মে, সাঈদীকে ১২ মে, কামারুজ্জামানকে ১৪ জুন ও কাদের মোল্লাকে ১৫ জুন সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সাঈদীর পর সাকা: তদন্ত সংস্থার একটি সূত্র জানায়, সাঈদীর পর সাকা চৌধুরীর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ১১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হবে। এর পরপরই আসবে সাকা চৌধুরীর বিষয়টি।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক মো. শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১ আগস্টের মধ্যে সাকা চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। তদন্ত শেষ না হলে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
গত ৩১ মে তদন্ত সংস্থা সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫ খণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান প্রসিকিউটরের (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) কাছে জমা দিলে ট্রাইব্যুনাল ১১ জুলাইয়ের মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। অন্য যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের বিচার আগস্টে শুরু করা যাবে।
এদিকে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১ আগস্টের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার সূত্রগুলো জানায়, এই চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগস্ট মাসে এঁদের বিচার শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটির সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সভায় প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থার সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। এ ছাড়া অন্য যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের বিচার শুরু হবে আগস্টে। তাঁদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আনুষঙ্গিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি আছে কি না, এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সাক্ষী সুরক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে কোন দুজনের বিচার আগামী মাসে শুরু হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী কিছু বলেননি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বৈঠকের বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত সংস্থা যখন যা চায়, তা দ্রুত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত অপর এক মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি তদন্ত সংস্থার বাজেট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তদন্ত সংস্থাকে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে না দিয়ে সংস্থার কাজে লাগানোর বিষয়ে তিনি মতামত দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ।
যথাযথ প্রক্রিয়া মানা হবে: সন্ধ্যায় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাঁদের সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালের সামনে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে যে সাক্ষ্য আসবে, তাঁদের জেরা করার সুযোগ থাকবে। চাইলে সাফাই সাক্ষী দিতে পারেন। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই বিচার সম্পন্ন হবে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিচারে কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
সেফ হোমে (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্ধারিত বাড়ি) চাপ প্রয়োগের অভিযোগ নাকচ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারটিকে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য করার স্বচ্ছতা নিয়েই এগোনো হচ্ছে। কোনো মহল থেকে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে চাইলে তাঁদেরও বসার ব্যবস্থা করা হবে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে। তিনি বলেন, সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের আইনজীবী ও চিকিৎসকের সামনেই। কোনো চাপ দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের কাজে অর্থের ব্যাপারে কোনোরকম সমস্যা নেই। ট্রাইব্যুনালের কাজ এখন এমন পর্যায়ে আছে যে আগামী মাস থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাজে সমন্বয়ের অভাব নেই।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাতজনের মধ্যে ছয়জনকেই সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা নিজামীকে ৫ মে, মুজাহিদকে ৮ মে, সাকা চৌধুরীকে ১০ মে, সাঈদীকে ১২ মে, কামারুজ্জামানকে ১৪ জুন ও কাদের মোল্লাকে ১৫ জুন সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সাঈদীর পর সাকা: তদন্ত সংস্থার একটি সূত্র জানায়, সাঈদীর পর সাকা চৌধুরীর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ১১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হবে। এর পরপরই আসবে সাকা চৌধুরীর বিষয়টি।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক মো. শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১ আগস্টের মধ্যে সাকা চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। তদন্ত শেষ না হলে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
গত ৩১ মে তদন্ত সংস্থা সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫ খণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান প্রসিকিউটরের (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) কাছে জমা দিলে ট্রাইব্যুনাল ১১ জুলাইয়ের মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
0 comments:
Post a Comment