Total Pageviews

Feedjit Live

Sunday, November 27, 2011

পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

হিনা রাব্বানি খার হিনা রাব্বানি খার
পাকিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে সব ধরনের কর্মসূচি ও সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
গত শনিবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি তল্লাশি চৌকিতে ন্যাটোর হেলিকপ্টার হামলায় ২৮ সেনা নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই হামলার পর ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পাকিস্তান সরকার। এর আগে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিসহ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সরে যেতে যুক্তরাষ্ট্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নিজেদের দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীই নিশ্চিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শামসি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করত। এই ঘাঁটি থেকে মনুষ্যবিহীন বিমান থেকে তালেবান ও আল-কায়েদাবিরোধী অভিযান চালানো হতো। আগেও পাকিস্তান ওই ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইতিমধ্যে সেই ঘাঁটি ছেড়ে গেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ন্যাটোর হামলার বিষয়ে টেলিফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি টেলিফোনে হিলারিকে বলেন, এ ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে এবং পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে। হিনা আরও বলেন, পাকিস্তান চায় শামসি বিমানঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাক।
এর আগে শনিবার রাতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা। এতে বলা হয়, পাকিস্তানে ন্যাটোর হামলায় হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, দেশ দুটি জনগণের স্বার্থে কাজ করছে।
ন্যাটোর হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামি গতকাল মোহামন্দ এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More