সোমবার বিকালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনূর রশীদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়- কেনার সময় জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়, যার কোনো উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে এ মামলায় বিরোধীদলীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, রাজনৈতিক সচিবের এপিএস (বর্তমানে বিআইডাব্লিউটিএ-এর পরিচালক- নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) জিয়াউল ইসলাম ও ঢাকার মেয়রের এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় 'শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে একটি হিসাব খোলা হয়। এতে ৭ দিনের মধ্যে জমা হয় ৭ কোটি ৮০ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা। এর মধ্যে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা বিএনপির দলীয় তহবিল থেকে আসে।
বাকি টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা মেট্রো মেকার্স ডেভেলপার্স লিমিটেড এবং ২৭ লাখ টাকা জিয়াউল ইসলামের কাছ থেকে ওই হিসাবে আসে।
দুদকের অভিযোগ, বিএনপির দলীয় ফান্ডের টাকা ছাড়া বাকি টাকার কোনো বৈধ উৎস নেই। তখনকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে ওই অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, "দুদকের তদন্তের সময় মেট্রো মেকার্স ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এস জাহাঙ্গীর ওই ট্রাস্টে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম মেট্রো মেকার্সের নাম ব্যবহার করে ওই অর্থ জমা দেন।
"এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম দুদককে বলেছেন, হারিছ চৌধুরীর দেওয়া টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে তিনি ওই হিসাব নম্বরে জমা দিয়েছেন।"
একইভাবে জিয়াউল ইসলামও দুদককে বলেছেন, নির্দেশ ছিল বলেই তিনি টাকা জমা দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানম নামে এক নারীর কাছ থেকে 'শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট'-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। ওই জমির মূল্য বাবদ বিক্রেতাকে ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব থেকে ৬ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।
দুদকের অনুন্ধানে দেখা যায়, এই মূল্যের বাইরেও বিক্রেতাকে আরো ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ৯৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এই অর্থের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে ৪ দফা চিঠি দেওয়া হলেও তিনি আসেননি বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment