Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, August 8, 2011

বাড়ির অধিকার ছাড়লেন শেখ রেহানা


ঢাকা, অগাস্ট ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ১০ বছর আগে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি বাড়ির অধিকার ফিরে পাওয়ার আইনী লড়াইয়ে ইতি টেনেছেন।

সোমবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের বেঞ্চে আবেদন করে এ বিষয়ক রিট প্রত্যাহার করেছেন শেখ রেহানা।

মামলার বিষয়বস্তুর কারণে নয়, বরং উৎসর্গ করার মানসিকতা থেকে রেহানা এ রিট আর চালাতে চান না বলে প্রত্যাহার আবেদনে বলা হয়েছে।

আদালত শেখ রেহানার এই মানসিকতাকে উৎসাহিত করে।

সোমবার আদালতে শেখ রেহানার আইনজীবী হিসাবে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এবং সরকার পক্ষে ছিলেন ওই আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা আশেক মোমেন।

২০০১ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়িটি শেখ রেহানার নামে বরাদ্দ করে। রেহানা তা নগদ মূল্যে কিনে নেন। ২০০৫ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার বাড়িটি সরকারি মালিকানায় নিয়ে সেখানে ধানমণ্ডি থানা স্থাপন করে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শেখ রেহানা ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করলে আদালত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর খালেদাকে তৎকালীন সরকার এরকম সুবিধা দিয়েছিলো।

গুলশানে একশ এক টাকায় দেড় একর আয়তনের একটি বাড়ি 'কেনেন' তিনি।

সেনানিবাসে শহীদ মঈনুল সড়বে এক টাকায় ১৯৮১ সালের ৮ জুলাই আট বিঘা আয়তনের একটি বাড়িও ইজারা দেওয়া হয় খালেদাকে।

গত বছরের ১৩ জুলাই খালেদাকে ওই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

'জনগণের কল্যাণে অধিকার ত্যাগ'

রিট প্রত্যাহার আবেদনে বলা হয়, শেখ রেহানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের কারণে মেয়ে হিসাবে তিনি গর্বিত।

'বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ পিতার রেখে যাওয়া সব সম্পত্তি দেশের জনগণের সেবায় দান করেছেন। টুঙ্গিপাড়ার বাড়িটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

শেখ রেহানার ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই- এ কথা উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে সরকার আইন অনুযায়ী তাকে একটি বাড়ি দিতে বাধ্য এবং ইতিপূর্বে তার বাড়ি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটিও ছিলো অবৈধ।"

'কিন্তু বাড়িটি বর্তমানে থানা হিসাবে জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে তিনি তার অধিকার ত্যাগ করতে চান।'

শেখ রেহানাকে বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয় জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইনের আওতায়। চারদলীয় জোট সরকার আইন ও বরাদ্দ বাতিল করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ পাশ করা হয়। ওই আইনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন এসএসএফ অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ অনুযায়ী ভিআইপি হিসাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া ওই আইন অনুযায়ী সরকার পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসন ব্যবস্থা করবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটক

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More