Total Pageviews

Feedjit Live

Monday, August 8, 2011

লন্ডনে আবার সহিংসতা


লন্ডন, অগাস্ট ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- লন্ডনে টানা তৃতীয় দিনের মতো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি, ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া, দোকান লুটপাট করা ছাড়াও পুলিশের দিকে পেট্রোল বোমা, পাথর এবং ডাস্টবিন ছুড়েছে তরুণরা।

হ্যাকনি রেলস্টেশন এলাকা পুলিশ সিল করতে চাইলে সোমবারের এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ একজনকে থামিয়ে তল্লাশি চালানোর পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তরুণরা কয়েকটি দোকান এবং পুলিশের গাড়ির জানালা ভাংচুর করা ছাড়াও অন্তত একটি গাড়ি এবং ডাস্টবিন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা হ্যাকনিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে।

দক্ষিণ লন্ডনের পেকহাম এবং লিউইশাম এও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ দুটি জায়গায় তরুণরা একটি ভবনে আগুন দেওয়া ছাড়াও দোতালা একটি বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে।

পেকহামে একটি ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। লন্ডনের কয়েকটি এলাকায় জ্বলতে দেখা গেছে গাড়ি। রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে বিক্ষুব্ধ তরুণরা।

লন্ডনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে সামাাজিক যোগাযোগ ওয়েবাসাইট থেকে জানা যাচ্ছে।

সহিংসতা তৃতীয় দিনে গড়ানোয় লন্ডনের রাস্তায় আবারো মোতায়েন করা হচ্ছে দাঙ্গা পুলিশ। লন্ডনে দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারীদের 'সুযোগসন্ধানী অপরাধী' বলে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।

উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, "অনর্থক এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সুযোগসন্ধানী চোরামি আর সহিংসতা ছাড়া এটি আর কিছু নয়। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়।"

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, "আমরা যে সহিংসতা, লুটপাট এবং দুর্বৃত্তপনা দেখছি তা পরিস্কার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এদের বিচার করা হবে। অপকর্মের পরিণতি তাদেরকে ভোগ করতেই হবে।"

পুলিশ লন্ডন জুড়ে সহিংসতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ২শ'রও বেশি জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

উত্তর লন্ডনের টোটেনহ্যামে ঘটে যাওয়া বিক্ষুদ্ধ জনতার দাঙ্গা রোববার রাতে আরও কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন, ক্রয়ডন, পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথামস্টো, চিংফোর্ড, সেন্ট্রাল লন্ডনের অক্সফোর্ড সার্কাস, উত্তর লন্ডনের হ্যাকনি, এনফিলড্, পন্ডার্স এন্ড ও পালমার্স গ্রিনে রোববার রাতে দোকান পাট ভাংচুর ও মালামাল লুট হয়েছে। কিছু এলাকায় পুলিশের গাড়িতে ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মার্ক ডুগাল এর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে কয়েকশ' জনতা টোটেনহ্যাম পুলিশ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে ও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তারা পুলিশ স্টেশনের নিকটবর্তী দোকানপাটের মালামাল লুট করে পেট্রল বোমা ও মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করে।

সহিংতা নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে এবং পুলিশ দ্রুত সহিংসতা সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপসহকারী পুলিশ কমিশনার স্টিফেন কাভানাগ।

মেট্রপলিটান পুলিশের কমান্ডার ক্রিস্টিন জোনস বলেন, আমরা একটি চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতির সম্মুখীন। বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো সহিংস ঘটনা ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। আমরা সারা লন্ডনে পুলিশের ইউনিট মোতায়েন করেছি এবং যেখানেই অপরাধের খবর পাচ্ছি সেখানে দ্রুত মুভ করছি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More