Total Pageviews

Feedjit Live

Saturday, January 14, 2012

বিকৃত গণতন্ত্রের বিড়ম্বনা

সহজভাবে বলতে গেলে গণতন্ত্র এমন এক শাসনপদ্ধতি, যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই নিজেদের দেশ শাসন করতে পারে। এই শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে সবার অধিকার ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা যায়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সহজতর হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো একক ব্যক্তির নিজেকে রাজা বা দেশের মালিক ভাবা ও সেই হিসাবে খেয়ালখুশি মোতাবেক দেশ পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। মালিক ও শাসক জনগণ; ফলে এখানে কেউ রাজা ও কেউ প্রজা এ অসমতা গ্রহণযোগ্য নয়। উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো সুযোগও নেই।
‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’—কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানে রয়েছে গণতন্ত্রের মূল বিষয়বস্তু। তবে প্রতিটি নাগরিক দেশ শাসন করবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। তাই জনগণের পক্ষে তাদের প্রতিনিধি মনোনীত এবং নির্বাচিত করার ব্যবস্থা চালু করা হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের প্রতিনিধি ও সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করবে যতদূর সম্ভব নাগরিকের মতামত ও ইচ্ছানুসারে। এক কথায়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলো শাসনকার্যে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১৯৯০ সালে আন্দোলনরত দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের জাতীয় পার্টি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল এটি অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ সরকার এবং নির্বাচনে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। তাই অপরাপর রাজনৈতিক দল দেশকে স্বৈরাচার, দুর্নীতি এবং নির্বাচন জালিয়াতি থেকে মুক্ত করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। একই সঙ্গে তারা তিনজোটের রূপরেখা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালু করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। সে সময় সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার পুনঃপ্রবর্তন করা হয়।
১৯৯০-এর পর থেকে অদ্যাবধি দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল কখনো এককভাবে, কখনো অন্য ছোট দলগুলোর মধ্যে জোটবদ্ধভাবে পালাক্রমে একজনের পর আর একজন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে ও পরস্পর স্থান পরিবর্তন করে বিরোধী দল হিসেবে কাজ করে আসছে। দেখা যায়, ওই সময়ের পর থেকে সরকারগুলো তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়। যখন যে বিরোধী দলে থাকে তখন এ বিষয়ে তাদের অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলগুলোর প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করানোর অভিপ্রায় নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে থাকে। বিগত ২১ বছরে কোনো সরকারের সময়ই সব প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ সময়কালে কোনো জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নাতীতভাবে সুষ্ঠু বলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেনি।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য, অত্যধিক অর্থের ব্যবহার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতির কারণে দেশের নির্বাচনগুলোতে প্রায় সময়ই জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে না।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এ অবস্থার কারণে দেশপ্রেমিক এবং যোগ্য ব্যক্তিরা যাঁরা সরকার ও রাজনীতি ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারতেন তাঁরা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন না। অপরদিকে, যারা ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে আসছেন তাঁরা সরকার বা রাজনীতি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সমর্থ নন। এমনকি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ দেখা যায়। স্বভাবতই ওই সব রাজনীতিবিদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতা ও দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ।
গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে সরকারকে জনগণের মতামত নিয়ে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জনগণের মতামত জানার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা ছাড়া মতামত কার্যকর করার পদ্ধতি এবং সদিচ্ছা আবশ্যক। এগুলো নিশ্চিত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে ‘সংসদ’ এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। সংসদে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপস্থাপিত করা হবে। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ সেগুলোকে আমলে নেবে ও বাস্তবায়নে অগ্রসর হবে, এটাই কাম্য। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে সর্বদা বিষয়গুলো দেখাশোনা করবে। এভাবেই ‘সংসদ’-এর দায়িত্ব পালনের কথা।
সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনের পর এ পর্যন্ত সব সরকারের আমলেই বিরোধী দলগুলো অধিকাংশ সময়ই সংসদ বর্জন করে এসেছে। তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদ বর্জনের কারণে দেশের প্রায় অর্ধেক জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বা তাদের কথাগুলো সংসদে আলোচিত হচ্ছে না। কাজেই জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দেশের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছে না।
সংসদ বর্জনের কারণ হিসেবে বিরোধী দল বলে আসছে যে, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির স্পিকাররা সংসদে তাদের কথা বলতে দেন না। বিরোধী দলগুলোর আরেকটি অভিযোগ হলো যে অনেক ক্ষেত্রে তাদের কথা বলতে দেওয়া হলেও তাদের মতামতকে কোনো সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এ অবস্থায় তাদের সংসদে যোগদান দেশ পরিচালনায় খুব গুরুত্ব বহন করে না। তাঁরা বলে থাকেন সরকার স্বৈরতান্ত্রিকভাবে একাই দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে দল ক্ষমতায় থেকে সংসদকে কার্যকর করার জন্য বিরোধী দলকে সংসদে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছিল, সে দলই বিরোধী দলে গিয়ে সংসদ বর্জনের পক্ষে সাফাই গেয়ে যায়। যেহেতু দুই প্রতিপক্ষই সংসদ বর্জনের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে, ফলে সে যুক্তি সঠিক ধরে নেওয়া যায়।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ। এই বিতর্কিত অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা সংসদে তাঁদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন না। দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে কেউ সংসদে ভোট দিলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হয়। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান এবং ক্ষমতাসীন দলের সংসদীয় দলের নেতা। তাই সংসদীয় পদ্ধতির সরকার পুনঃপ্রবর্তনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীরা তাঁদের দলের সব সংসদ সদস্যের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছেন। তাঁর আদেশ অমান্য করলে সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হন। সংসদের সব সিদ্ধান্তই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া হয়। যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের সর্বোচ্চ সংখ্যক সংসদ সদস্য থাকেন, সেহেতু প্রধানমন্ত্রী বা সংসদীয় দলের নেতা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটাই সংখ্যাধিক্যের ভোটে সংসদে অনুমোদিত হয়। আর এ কারণেই উল্লিখিত সংশোধনী পরবর্তী যেকোনো সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোটামুটি তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছা বাস্তবায়নে সংসদের নিশ্চিত সমর্থন লাভ করেন। ফলে বলা যায়, সংসদ অকার্যকর হওয়ার একমাত্র কারণ বিরোধী দলের সংসদ বর্জন নয়। সংসদ সচল থাকলেও তা স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করে নির্বাহী বিভাগ। ‘জনগণ’ বলতে এখানে দলমত নির্বিশেষে সব নাগরিককে বোঝায়, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বোঝায় না। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের পর থেকে আজ পর্যন্ত সব সরকারের আমলেই প্রায় সব উন্নয়ন প্রকল্প বা জনস্বার্থবিষয়ক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য। প্রশাসনে নিয়োগ, পদোন্নতি, ব্যবসা, ভূমি এবং সরকারি সম্পত্তি ইজারা প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তামূলক সুযোগ-সুবিধা সবই প্রধানত দলীয় লোকদের দেওয়া হয়। আর এ জন্য টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ইত্যাদি করা হয় বলে অভিযোগ আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধী দল বা কোনো সাধারণ নাগরিক এ ধরনের কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
১৯৯১ সালের পর থেকে যাঁরা বিরোধী দলে ছিলেন তাঁরা অভিযোগ করে আসছেন সরকার তাঁদের পছন্দের বা দলীয় লোকদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। আর এর উদ্দেশ্য হলো বিচারিক প্রক্রিয়ার ফলাফল ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে নেওয়া। এভাবেই প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত বিচার বিভাগের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে এবং জনগণ বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে।
সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশনসহ সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করা। কিন্তু এ লক্ষ্যে আমাদের বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো কিছু না। তা ছাড়া, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মুখ্য পদগুলোতে দলীয়করণের মাধ্যমে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় বলে বিরোধী দলের অভিযোগ আছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটির কর্মকাণ্ড প্রায়ই গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার পরিবর্তে তা নষ্ট করে চলছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে আসছে। অন্যতম উদাহরণ সরকারি কর্মকমিশনের কর্মকাণ্ড। অভিযোগ আছে যে ক্ষমতাসীন দল তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের সরকারি কর্মকমিশনে নিয়োগ প্রদান করে। ফলে এই পছন্দের ব্যক্তিরা মেধা বা যোগ্যতার পরিবর্তে দলীয় সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারি নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। এভাবেই গণতন্ত্রের অন্যতম লক্ষ্য ‘সবার জন্য সমান সুযোগ’—এই শর্ত লঙ্ঘিত হয়। আর এর অন্যতম ফলাফল হলো সুশাসনের অভাব বা দুঃশাসন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পর পর পাঁচবার (২০০১-০৫) বিশ্বে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বলে বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করে। এখন শীর্ষে না থাকলেও বাংলাদেশ বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর দলে। জনগণ এখন ভাবতে শুরু করেছে যে পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন করে সরকার গঠনের বৈধতা দেওয়া মানে কি ক্ষমতাসীন দলকে জনগণের সম্পদ লুট করতে দেওয়ার ন্যায্য অধিকার দেওয়া এবং জনগণকে প্রজার মতো ব্যবহার করতে দেওয়া?
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, আশির দশকের শেষ দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের যথার্থতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা কার্যকর সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করবে ও রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতির চর্চা করবে। তাদের সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন গত দুই দশকেও হয়নি। বরং বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) দেশকে জঙ্গবািদী ইসলামিক মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান মহাজোট সরকার দেশকে সেই কলঙ্কের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি ও গণতন্ত্রের চর্চার মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কাঠামো থেকে মুক্ত হতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন নব্বই-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা প্রকৃত প্রস্তাবে যেভাবে চর্চা করা হচ্ছে, তাতে গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র বিকশিত হচ্ছে। এমনকি সচেতন নাগরিকদের অনেকে গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতন্ত্র থেকে দেশ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না এটা ভেবে আতঙ্কিত। দুর্নীতির পরিমাপেও অবস্থার তেমন উন্নতি করতে পারেনি।
গণতন্ত্রের নামে চরম দুর্নীতি, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মানুষের অধিকারের নিরন্তর লঙ্ঘন, ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালনা করছে। আর এ কারণেই দেশে সংঘাতমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা পুরো জাতিকে এক হতাশা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্থা থেকে উত্তরণের সমাধান খুঁজে বের করা। অন্যথায় জনগণ গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। ফলে, অনাকাঙ্ক্ষিত অগণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির দিকে জনগণ আকৃষ্ট হতে পারে, যেমনটি অতীতে হয়েছিল।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের: মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More